শত পুত্রের চেয়ে সদগুণ সম্পন্ন একটি পুত্র ভালো - চাণক্য নীতি

একোহপি গুণবান পুত্র নির্গুণেন শতেন কিম্।
এক চন্দ্রো তমোঃন্তিন চঃ তারা সহস্রাঃ ॥
একো- এক, অপি- এমনকি, গুণবান- সুযোগ্য বা গুণসম্পন্ন; পুত্র- পুত্র; নির্গুণেন- অযোগ্য, শতেন- শত, কিম- কি (মূল্য), তমো- অন্ধকার রাত্রি, হন্তি- ধ্বংস করে, ন- না, চ- এবং, তারা- নক্ষত্ররাজি; সহস্রঃ- হাজার হাজার।

অনুবাদ: সদগুণসম্পন্ন একজন পুত্র অযোগ্য শত শত পুত্রের চেয়েও শ্রেয়। যেমন একটি চাঁদই রাতের অন্ধকার দূর করে, অথচ হাজার হাজার তারকা তা করতে পারে না। 

তাৎপর্য: কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের সফলতা, এর সাথে যুক্ত জনবল দ্বারা নির্ধারণ করা যায় না। শ্রীল প্রভুপাদ কখনোই এ ধরনের সহজিয়া শিষ্য বা শিষ্যাদের চাইতেন না, যারা অবৈধসঙ্গ, আমিষাহার, জুয়াখেলা ও নেশা বর্জন এই চারটি নিয়ম যথাযথভাবে পালন করে না। যদি অধিক শিষ্য গ্রহণ করা শ্রীল প্রভুপাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হতো, তবে তিনি তাদের অবশ্যই বলতেন, “তোমরা যা খুশি তা করতে পার এবং আমাকে টাকা দিলেই বিনিময়ে তোমাদের মন্ত্র দেব।” প্রভুপাদের উত্তরসূরিদেরও এমন সহজিয়া শিষ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। অর্থাৎ সংখ্যা নয়, মানের ওপর জোর দেওয়া উচিত। যখন আমরা মানের প্রতি গুরুত্ব দেব, তখন এমনিতেই অনুসারীর সংখ্যা বাড়বে।
শ্রীল প্রভুপাদের গুরুদেব শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর তার প্রচারক শিষ্যদের বিভিন্ন স্থানে প্রবচন প্রদানের জন্য পাঠাতেন। মাঝেমধ্যে তারা ফিরে এসে বলতেন যে, খুব অল্পসংখ্যক লোকই তাদের প্রবচন শুনতে আসে। ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর উৎসাহ দিয়ে বলতেন, “হতাশ হয়ো না; যদি কেউ না আসে তবে চার দেয়ালের কাছে আমরা প্রচার করব।” প্রভুপাদও বলতেন, “এই ভেবে আমাদের সান্ত¡না পাওয়া উচিত, অন্তত দেয়ালে বসবাসকারী পোকামাকড়গুলো তো নামকীর্তন শুনছে। চন্দ্র, সূর্য কিংবা দশ দিকের কাছে আমরা প্রচার করব।” অর্থাৎ কৃষ্ণকথা, কৃষ্ণনাম যেই-ই শুনুক না কেন, কোনো না কোনোভাবে সে উপকৃত হবেই। অধিক অনুসারী তৈরির জন্য প্রচারকদের ভগবানের কথা বিকৃত করা কখনই উচিত নয়।
শ্রীল প্রভুপাদ যখন পাশ্চাত্যে এসেছিলেন, তখন তার পরিচিত অনেকে তাকে তার নিয়মকানুনগুলো শিথিল করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারা প্রভুপাদকে সংস্কৃতমন্ত্র পরিত্যাগসহ আমেরিকান পোশাক-পরিচ্ছদ ও খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে বলেছিলেন। কিন্তু শ্রীল প্রভুপাদ তাতে কখনই সায় দেননি। এমনকি অনেকেই আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ নামটির পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক ঈশ্বরভাবনামৃত সংঘ নাম রাখতে বলেছিল। কারণ তাতে, আরও অধিক সংখ্যক অনুসারী পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রভুপাদ তাতেও অসম্মতি জানিয়েছিলেন। তিনি জানতেন যে, আপসের চেয়ে শুদ্ধতার প্রতি মানুষ বেশি আকৃষ্ট হবে। যেমন যেসব দোকানি ঘি দিয়ে রান্না করে ক্রেতারা তাদেরকে অধিক মূল্য প্রদান করে।
chankya-niti-hksamacar

যাই হোক, সাধারণ মানুষ সংগঠনের সফলতা বিচার করে লোকবলের ভিত্তিতে। ঠিক যেমন কোনো ব্যবসার সফলতা নির্ভর করে সেই ব্যবসার আর্থিক সম্পদের ওপর। অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন একবার এক রিপোর্টার প্রভুপাদকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা এত অল্প কেন?” শ্রীল প্রভুপাদ উত্তর দিয়েছিলেন, “সংখ্যার দিক দিয়ে চাঁদ আকাশে খুবই নগণ্য, কারণ সেখানে অসংখ্য তারকা বর্তমান। কিন্তু এ অসংখ্য তারকার চেয়ে একটি চাঁদের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই চাঁদের কাছে তারকার আধিক্যের হিসাব মূল্যহীন। সুতরাং একটি চাঁদ, অর্থাৎ একজন আদর্শ ব্যক্তিই যথেষ্ট। ঠিক যেমন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে আদর্শ হচ্ছেন যিশুখ্রিস্ট।”
একজন যথার্থ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির প্রভাব অনেক বেশি। “যদি একটি চাঁদও তৈরি করতে পারি, তবে তা-ই যথেষ্ট। অনেক তারকার কোনো প্রয়োজন নেই। এটি আমার গুরুমহারাজের নীতি। অতএব, আমারও নীতি। বেশিসংখ্যক বোকা বা মূর্খের কী প্রয়োজন? যদি একজনও যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারে, তবে সে একাই সমগ্র পৃথিবীকে জয় করতে পারবে।”
এই ‘এক চাঁদ’ নীতির মানে এই নয় যে, শুদ্ধতার বিচারে আমাদের শুধু অল্পসংখ্যক অনুসারীই থাকবে; বরং প্রকৃত রুচিসম্পন্ন জনগোষ্ঠী এতে আপনাআপনিই আকৃষ্ট হবে। কারণ, এমন যথার্থ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি সারা বিশ্বে নিজেই যথাযথভাবে শুদ্ধ কৃষ্ণভাবনামৃত আচরণ করে প্রচার করবেন এবং নিজেই উদাহরণ হয়ে থাকবেন। যার ফলে প্রকৃত অনুসারীরা অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের সে রকম যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বে পরিণত করার প্রয়াসী হবে। এভাবে অনুসারীরা সেই যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির সাথে যুক্ত হয়ে তাকে প্রচারে সহায়তা করবে।
এ ক্ষেত্রে কেউ আবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে যে, “এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন কি সে রকম কোনো ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে পেরেছে?” প্রভুপাদকে এ প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেছিলেন, “তা সম্ভব যদি তারা আদর্শ মানুষ হয়।”
কৃষ্ণভাবনা প্রশিক্ষণ মানেই যথার্থ ব্রাহ্মণ তৈরি করা। সকল ভক্তদেরই এমন সাধারণ মানসিকতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। এ জন্যই ‘ইস্কন’-এ দীক্ষা গ্রহণের পূর্বে অনুসারীদের চারটি নিয়ম যথাযথভাবে পালন করাসহ প্রতিদিন কমপক্ষে ষোল মালা জপ করার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ বিধিসমূহ পালন করার ফলে অধঃপতিত জীব ধীরে ধীরে উন্নত স্তরে অধিষ্ঠিত হয়ে একসময় একজন গুরু হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। সবাইকে ব্রাহ্মণ হতে হবে- শ্রীল প্রভুপাদ তা প্রত্যাশা করেননি এবং আদৌ তা সম্ভব নয়। কিন্তু একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান আমাদের তৈরি করতেই হবে; তবে এমন নয় যে, সবার সাথেই আপস করব। তা আমাদের কাজ নয়।”৩
শ্রীল প্রভুপাদ এবং তার গুরুদেব বিশ্বাস করতেন যে, তাদের এই সমস্ত ত্যাগ সার্থক হবে যদি একজনও কৃষ্ণের শুদ্ধ ভক্তে পরিণত হয়। তার এই ত্যাগ ধারণার চেয়েও অধিক গতিতে উপযুক্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে প্রভুপাদ নিজেও অবাক না হয়ে পারেননি। “একটি চাঁদই যথেষ্ট, আমাদের কার্যক্রমের উদ্দেশ্য একজন শুদ্ধ ভক্ত তৈরি করা। কিন্তু সৌভাগ্যবশত, কৃষ্ণের কৃপায় বহু চাঁদসদৃশ ছেলে-মেয়ে এই কৃষ্ণভাবনামৃতে যোগদান করেছে।”
সম্ভবত আমাদের মধ্যে কেউ-ই নিজেকে সে রকম শুদ্ধ ভক্ত বলে দাবি করতে পারি না। তবুও আমরা শ্রীল প্রভুপাদের উক্তিটিকে হৃদয়ে ধারণ করি। তাই ভক্তদের শুধু অধিক সংখ্যক অনুসারী বানানোর প্রতি জোর না দিয়ে তাদের মান উন্নয়নের ওপরও জোর দেওয়া উচিত। কেননা শ্রীল প্রভুপাদ বলেছিলেন, তার প্রচেষ্টা সার্থক হবে, যদি তার কথায় একজনও শুদ্ধ কৃষ্ণভক্তে পরিণত হয়। সম্পর্ক তৈরির একমাত্র উদ্দেশ্য কৃষ্ণের প্রতি আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা জাগরিত করা এবং অন্যদের হৃদয়ে কৃষ্ণপ্রেম সঞ্চার করা।
পক্ষান্তরে, ভক্তের গুণগত শরণাগতির মান বলতে তার সেবা মানসিকতার ক্রমোন্নতিকেই নির্দেশ করে। শ্রীল প্রভুপাদের আন্দোলন সম্প্রসারিত করার জন্য ভক্তরা গ্রন্থ বিতরণ, মন্দির নির্মাণ বা সংস্কারসহ অন্য যেকোনো প্রচারমূলক সেবা করছে কি-না, তা নির্দেশ করে কৃষ্ণভাবনার প্রতি তাদের বিশ্বাসের গভীরতা কতটুকু। সুতরাং গুণ ও সংখ্যার মধ্যে কোনোরকম ভুল বিভাজন রেখা অঙ্কন করা আমাদের কখনই উচিত নয়। মান বৃদ্ধি পেলে সংখ্যা আপনাআপনিই বৃদ্ধি পাবে। শ্রীল প্রভুপাদ বলতেন যে, সবকিছু যথাযথ হওয়া উচিত। প্রচার, প্রসাদ, মন্দির ভবন সবকিছুই যদি মানসম্পন্ন হয়, তবে আমাদের আন্দোলনও অবশ্যই মানসম্পন্ন হবে। সকলেই আমাদের মানের প্রতি আকৃষ্ট হবে, কিন্তু তারা যদি আকৃষ্ট নাও হয়, তবু আমাদের শুদ্ধভাবে কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। শ্রীল প্রভুপাদ তার ভগবদ্গীতার প্রসঙ্গে এ বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। প্রভুপাদের প্রথম গীতা প্রকাশকারী কোম্পানি ম্যাকমিলান থেকে প্রভুপাদকে বলা হয়েছিল যে, অন্যান্য ভগবদ্গীতার বিক্রয় যেখানে কমে যাচ্ছে, সেখানে তার ভগবদ্গীতার বিক্রয় দিন দিন বেড়েই চলছে। তখন প্রভুপাদ বলেছিলেন, “আমার ভগবদ্গীতা মানসম্মত।”
তাহলে ইস্কনে বহুসংখ্যক সদস্য নেই কেন? শ্রীল প্রভুপাদ একটি বিপরীতার্থক উপমা প্রদান করে বলেছিলেন, “যখন তুমি হীরক বিক্রয় করবে, তখন তোমার ক্রেতার সংখ্যা কমই হবে।” তিনি শুদ্ধতার মূল্য রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি যদি আমার শিষ্যদের পাপপূর্ণ জীবন থেকে বিরত রাখার ব্যাপারে কঠোর না হতাম, তাহলে আমার লক্ষ লক্ষ শিষ্য থাকত।”
যদিও খুব অল্পসংখ্যক ভক্তই চাঁদসদৃশ হতে চাইত, কিন্তু আমরা সময় অতিক্রমের সাথে সাথে দেখতে পাই যে, এ আন্দোলনের মাধ্যমে অনেক চাঁদসদৃশ ভক্ত তৈরি হচ্ছে। এ আন্দোলনে যোগদানকারী কোনো ব্যক্তিই সাধারণ নয়। তাদের দৈন্য, দয়া এবং বৃন্দাবন ও শ্রীবিগ্রহের প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষ্ণের প্রতি তাদের ভালোবাসাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রীল প্রভুপাদ উল্লেখ করেছেন, যদিও চাঁদের কলঙ্ক আছে তবুও চাঁদ আকাশে তার উজ্জ্বল প্রভা বিস্তার করে। ভক্তদের গুণাবলি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই তাদের সম্বন্ধে নেতিবাচক বিচার করা উচিত নয়।
শ্রীল প্রভুপাদ হলেন চাঁদ আর আমরা তার কিরণ। ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হলেন পূর্ণচন্দ্র।
চাণক্যের এ শ্লোকে দুটি উপমা আছে, একটি চাঁদের সাথে তারকার তুলনা এবং আরেকটি অনেক মূর্খ সন্তানের চেয়ে গুণসম্পন্ন একজন সন্তানের তুলনা। শ্রীল প্রভুপাদ এর অনুবাদ করেছেন, “একজন মূর্খ ও অভক্ত সন্তানের কী প্রয়োজন? দুটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ- সন্তানকে শিক্ষিতও হতে হবে এবং ভক্তও হতে হবে। না জেনে বা শিক্ষা লাভ না করে কেউ ভক্ত হতে পারে না, আর ভক্ত হলে তার সবই জানা হয়ে যায়। অনেক সময় জাগতিকভাবে কেউ শিক্ষিত নাও হতে পারে অথবা ভক্ত না হতে পারে। কিন্তু যদি ভক্তও না হয় আবার শিক্ষিতও না হয়, তবে এমন সন্তানের কী প্রয়োজন?”
নীতিশাস্ত্রেও এমন একটি কথা আছে। যদি অন্ধ ব্যক্তির চোখে যন্ত্রণা হয়, তবে তা তুলে ফেলাই শ্রেয়। হিন্দি কবি তুলসী দাস বলেছেন যে, পুত্র এবং মূত্রের উৎস একই। যদি পুত্র বিদ্বান কিংবা ভক্ত না হয়, তাহলে সে মূত্রের তুলনায় শ্রেষ্ঠ নয়। এ প্রেক্ষিতে বলা যায় : একটি সুগন্ধি পুষ্প যেমন একটি বনকে মহিমান্বিত করে, তেমনি কোনো বৃক্ষ থেকে উৎপন্ন আগুন সম্পূর্ণ বনটিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
সুতরাং একজন মূর্খ ব্যক্তি কেবল অযোগ্যই নয়, ভয়ঙ্কর ও ধ্বংসাত্মকও বটে। একজন শুদ্ধ বৈষ্ণব একাই সমগ্র জগৎকে উদ্ধার করতে পারেন। একজন মূর্খ ব্যক্তি যত ক্ষমতাসম্পন্ন বা জনপ্রিয়ই হোক না কেন, ভালো কিছু করতে পারে না বা বেশিদিন টিকতে পারে না। সেজন্য শিক্ষক, সরকার এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের উচিত শুদ্ধ আধ্যাত্মিক গুণ অর্জনে তাদের অনুসারীদের উৎসাহিত করা এবং নিজেদের মধ্যেও সেসব গুণ অর্জনের আকাক্সক্ষা বৃদ্ধি করা। এভাবেই সমাজের উন্নতি সম্ভব।
তাহলে একজন চাঁদসদৃশ ভক্তের কী কী গুণ থাকা উচিত? শ্রীল প্রভুপাদকে যখন জিজ্ঞেস করা হতো- কী তাকে সবচেয়ে বেশি খুশি করবে? প্রভুপাদ উত্তরে দিতেন, “কৃষ্ণকে ভালোবাসো।”
সমস্ত সদ্গুণ কৃষ্ণপ্রেমের অধীন। কৃষ্ণকে ভালোবাসলে অন্য সকল গুণ যেমন- সত্যবাদিতা, পরিশুদ্ধতা, শান্তি, দয়া ইত্যাদি স্বাভাবিকভাবেই আসবে। যখন কেউ কৃষ্ণকে ভালোবাসে তখন সে স্বাভাবিকভাবেই তার গুরুর প্রতিও অনুগত ও সমর্পিত হয়। শ্রীল প্রভুপাদ প্রায়ই যোগ্য কথাটি ব্যবহার করতেন। এর মানে ভক্তকে উত্তম প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত হতে হবে। এটিই মূল বিষয়- সত্যিকার অর্থে নীতিশাস্ত্রের সংজ্ঞা ও প্রয়োগ কেবল বৈষ্ণব আচার্যগণই দেখাতে পারেন।

১ কক্ষে আলোচনা, মেলবোর্ন, মে ২১, ১৯৭৫।
২ প্রাতঃভ্রমণ, বোম্বে, মার্চ ২৩, ১৯৭৪।
৩ প্রাতঃভ্রমণ, লস্ এঞ্জেলস্, জুন ২৩, ১৯৭৫।
৪ প্রবচন, নিউইয়র্ক, এপ্রিল ১২, ১৯৬৯।
৫ কক্ষে আলোচনা, বোম্বে, জানুয়ারি ৭, ১৯৭৭।
৬ প্রবচন, বোম্বে, অক্টোবর ১, ১৯৭৪।
৭ প্রবচন, নিউইয়র্ক, এপ্রিল ১২, ১৯৬৯।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন