
একাদশীতে উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কেবল অনাহারে উপবাস করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য হচ্ছে গোবিন্দ বা শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অধিক শ্রদ্ধা ও প্রেমপরায়ণ হওয়া। ‘উপ’ মানে নিকটে, ‘বাস’ মানে অবস্থান করা অর্থাৎ শ্রীহরির নিকটে অবস্থান করা। একাদশীর দিন উপবাস করার মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, শারীরিক আবশ্যকতাগুলো খর্ব করে ভগবানের মহিমা কীর্তন এবং ভগবানের সেবা করে সময়ের সদ্ব্যবহার করা। ভক্তিসহকারে একাদশী ব্রত পালন করলে সকল প্রকার যজ্ঞ ও ব্রত পালনের ফল লাভ হয়ে থাকে। এ তিথিতে অন্নগ্রহণকারীকে পশুর থেকেও নিকৃষ্ট বলে শাস্ত্রে বর্ণনা করা হয়েছে। অনেকের ধারণা ‘শ্রীপুরীধামে শ্রীজগন্নাথের অন্নপ্রসাদ ভক্ষণ দোষাবহ নহে’, এ ধারণার বশবর্তী হয়ে পুরীতে অনেকেই নিঃসঙ্কোচে অন্ন প্রসাদ গ্রহণ করেন, তা সম্পূর্ণ শাস্ত্রবিরুদ্ধ বিচার। একাদশী তিথিতে পঞ্চশস্য ধান, গম, যব, ভুট্টা ও সরিষা (তেলবীজ) জাতীয় যাবতীয় খাদ্য বর্জনীয়। এ তিথিতে সমস্ত পাপ এসকল শস্যের ভেতর অবস্থান করে। রন্ধনকার্যে সরিষা ব্যতীত অন্য সকল মসলা ব্যবহার করা যায়। গুঁড়ো হিং ব্যবহার করা যাবে না। ষটতিলা একাদশী ব্যতীত অন্য একাদশীতে তিলশস্যও বর্জনীয়। শস্যদানার সাথে পূর্বে মেশানো হয়েছে এমন দ্রব্যও বর্জনীয়। যেমন ঘি, যা কিনা পূর্বে পুরি ভাজতে ব্যবহার করা হয়েছে, অথবা চাপাটির ময়দার সঙ্গে হাতের দ্বারা স্পর্শ করা মসলার ব্যবহার করা যাবে না। পঞ্জিকাতে পারণের যে সময় দেওয়া থাকে, সেই সময়ের ভেতর শস্যজাতীয় প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ করা একান্ত আবশ্যক।
তারিখ | বার | একাদশীর নাম | পারণের সময় |
---|
ekadosi talika 2019, ekadosi chart 2019, একাদশী তালিকা ২০১৯, একাদশী তালিকা ২০১৯ ইসকন, একাদশী তালিকা 2019
Tags
একাদশী
thank you
উত্তরমুছুন